আশরাফ আহমেদ :
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের চরাঞ্চলসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে রোপা-আমন ধান রোপন শুরু হয়েছে।
জানা যায়, বিগত বছরের তুলনায় এবছর বাজারে ধানের দাম বেশি থাকায় হোসেনপুরে চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় চলতি মৌসুমে রোপা- আমন ধান চাষে আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের। ফলে উপজেলার গ্রামাঞ্চল কিংবা পৌরসভার আবাদী ও অনাবাদী জমিতে ব্যাপকহারে ধান চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
এদিকে ভরা বর্ষা মৌসুমেও বৃষ্টি না থাকায় স্যালু মেশিন কিংবা পাম্পের সাহায্যে জমিতে পানি দিয়ে ধান রোপণের জন্য জমি উপযোগী করে তুলছেন। লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ পদ্ধতি এখন আর চোখে পড়ে না। অধিকাংশ জমিতে টাক্ট্রর দিয়ে চাষ করা ও বীজ তলা থেকে ধানের চারা উত্তোলন করে জমিতে রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন চাষিরা। তবে দেশে লকডাউন থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে শ্রমিক আসতে না পারায় শ্রমিক সংকটে ভুগছেন তারা।
সংশ্লিষ্ট কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৬ টি ইউনিয়নে আমন ধান রোপনের অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৩ শত হেক্টর জমিতে। ইতোমধ্যে উপজেলার উঁচুএলাকায় প্রায় এক তৃতীয়াংশ আমন রোপন করা হয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার পুমদি, শাহেদল, গোবিন্দপুর, আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের গ্রাম গুলোতে আমন রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। তবে জিনারী ইউনিয়নের চর কাটিহারী, চর হাজিপুর সিদলা ইউনিয়নের সাহেবের চর, চর বিশ্বনাথপুর গ্রামে পুরোদমে ধান রোপণ এখনো শুরু হয়নি। তবে শ্রমিক সংকট থাকায় একটু বিলম্ব হচ্ছে।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ বছর জমিতে তারা বীনা সেভেন ৮, হাইব্রিড বিধান -৭ , ২৮, ২৯, ৪৯, ৫২ বায়ার কোম্পানির ধানী গোল্ড, তেজ ও পেট্রোকেম কোম্পানির পাইওনিয়ার এগ্রো-১২ জাতের ধান রোপন করছেন।
উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের চরহাজিপুর গ্রামের আমন ধান চাষী নজরুল ইসলাম, চর বিশ্বনাথ গ্রামের রফিক মিয়া, সিদলা ইউনিয়নের সাহেবের চর গ্রামের কামরুল ইসলাম সহ অনেকেই জানান, ধানের দাম বাজার অধিক থাকায় আমন ধান রোপণ করছি অধিকাংশ জমিতে। আরও অনেক জমিতে রোপণ করা বাকি আছে।
তারা আরও জানান, জমিতে ব্রি-হাইব্রিড জাতের ধানসহ অন্য ধান রোপন করছেন।
কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ ইমরুল কায়েস জানান, এই চলতি মৌসুমে ধানের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমন চাষে আগ্রহী হচ্ছে কৃষক। তবে উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আমন রোপন হবে বলেও জানান তিনি।