শেরপুর প্রতিনিধি :
শেরপুরে এনজি’র কিস্তির চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কর্মহীন ঋন গ্রহিতারা। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার ঘোষিত চলমান লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের লোকজন।
অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা। পাচ্ছেনা সরকারী কোন সাহায্য সহযোগিতা। পারছে না মুখ ফুটে কাউকে কিছু বলতে। বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ গ্রহন করেছে শত শত হতদরিদ্র মানুষ।করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকার ঘোষিত লকডাউনে তারা এখন পরিবারের সদস্যদের ভরন পোষন যোগাতে হিমশিম খাচ্ছে। ঠিক সে সময় চলছে এনজিও ঋণের কিস্তির চাপ। জেলার সর্বত্র পুরোদমে চলছে ঋণের কিস্তি আদায়। কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে সদস্যদের বাড়ি থেকে গরু পর্যন্ত নিয়ে যাচ্ছে এমন অভিযোগও রয়েছে।
জানা গেছে, গত ৪ মে রাতে আর ডিএস এর এক মহিলাকর্মী শেরপুর সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের হেলাল উদ্দিনের বাড়িতে ঋণের কিস্তি আদায় করতে যান। এ সময় হেলাল উদ্দিন কিস্তির টাকা দিতে না পারায় তার একটি গরু নিয়ে রওনা হয়। পরে এলাকাবাসীর অনুরোধে গরুটি রেখে দেয়।
খামারপাড়া গ্রামের আদিল বলেন, ঋণের মাধ্যমে অটোরিকশা ক্রয় করে প্রতিদিন ৫থেকে ৬ শত টাকা আয় হতো তা থেকে সাপ্তাহিক কিস্তি দিতাম ৪ হাজার টাকা। এখন লকডাউনের কারণে আগের মতো আয় রোজগারও হয় না। আর সঠিকভাবে কিস্তিও দিতে পারছিনা বলে রাতে বাড়িতে আসে এনজিও কর্মীরা।
গনই বডুয়া গ্রামের বুলুবুল আহম্মেদ বলেন, শক্তি ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে ঋন করে কিস্তি পরিশোধ করতে না পেরে এখন তিনি দিশেহারা। এনজিও’র লোকজনের কথা হচ্ছ সংসার চলুক আর না চলুক চুরি করে হলেই আমাদের কিস্তি দিতে হবে।
ভাটিপাড়ার মো.তোফা মিয়ার ছেলে শেখ ফরিদ কিস্তি’র চাপে সে এখন পলাতক রয়েছে। তার স্ত্রী বলেন, স্বামী কিস্তির কারণে পালিয়েছে। আমি ছেলে মেয়ে নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছি।