আশরাফ আহমেদ :
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার জিনারী এলাকার আজিজুল শখের বসে ব্রাহামা জাতের একটি গরু লালন পালন শুরু করেন। নিজের খামারেই জন্ম। ভীষণ যত্ন করে বড় করেছেন। লাল রঙের গরুটির এখন উচ্চতা প্রায় ৭ফুট ওজন ১১৫০ কেজি। আকর্ষণীয় এ গরুটি দেখতে প্রতিদিন ভীড় করছে লোকজন। তাই আজিজুল আদর করে গরুটির নাম রেখেছেন রাজাবাবু। কিন্তু ছোট থেকেই অনেকেই কিং কোবরা বলে ডাকত। আসন্ন কোরবানির ঈদ সামনে রেখে রাজারবাবুর দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা।
জানা যায়, প্রায় ৩ বছর আগে নিজের খামারে গাভী থেকে জন্ম নেয় রাজাবাবু। এরপর আদর যত্নেই বড় করছেন ষাঁড়টিকে। নিজের সন্তানের মতো বড় করতে পরিশ্রম করছে পরিবারটি। রাজাবাবুর জন্য বানানো হয়েছে আলাদা শেড। রাখা হয়েছে ২৪ ঘণ্টা ইলেকট্রিক ফ্যানের সুব্যবস্থা। খাবারের ব্যাপারেও আলাদা যত্ন করতে হয় রাজাবাবু। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রয়েছে সয়াবিনের খৈল, গম, ভুট্টা, ছোলা, সবুজ ঘাস ও ফল।
রাজাবাবুর আকার, আকৃতি ও ওজনের দিক থেকে জেলার সবচেয়ে বড় বলে দাবি মালিকের। ব্রাহামা গরু রোগ প্রতিরোধী। বাংলাদেশের আবহওয়ায় এই জাতের গরু খুবই মানানসই। এ জাতের গরু সাধারণত ৮০০-১৫০০ কেজি মাংস উৎপাদনে সক্ষম।
আজিজুল বীরযোদ্ধা ডট কমকে বলেন, অনেক যত্ন করে আমি আমার রাজাবাবু তিন বছর ধরে লালন পালন করছি। আমার ইচ্ছা রাজাবাবুকে বাড়ি থেকেই বিক্রি করব। যেহেতু করোনা মহামারি চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে, তাই কোরবানির হাটে গিয়ে বিক্রির তেমন কোনো ইচ্ছা নেই আমার।
তিনি আরও জানান, রাজাবাবুর লালন পালন করার ক্ষেত্রে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আমাকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে। রাজাবাবুকে দেখতে ও ক্রয় করতে আশপাশের উপজেলার অনেক ক্রেতাই আসছেন। দরদামে মিললেই বিক্রি হয়ে যাবে রাজাবাবু।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল মান্নান বীরযোদ্ধা ডট কমকে বলেন, ‘ষাঁড়টির লালন পালনের বিষয়ে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হতো। তিনি কোনও ক্ষতিকর ওষুধ প্রয়োগ ছাড়াই দেশীয় খাবার খাইয়ে ষাঁড়টিকে লালন পালন করেছেন। তিনি স্বীকার করেন, এ ষাঁড়টিই হোসেনপুর উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড়। করোনাকালীন সময়েও এ ষাঁড়টির ন্যায্যমূল্য পাবেন বলে প্রত্যাশা এ কর্মকর্তার।