আবু ইউসুফ, ভালুকা (ময়মনসিংহ) :
করোনা ভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে ৭ দিনের কঠোর লকডাউনের মধ্যে বিভিন্ন এনজিও ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ গ্রহিতাদের কাছ থেকে কিস্তির টাকা আদায়ে চাপ সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
লকডাউনের এ সময়টাতে ঋনের কিস্তি দিতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। করোনা ভাইরাস আতঙ্কে হাট-বাজারে মানুষ নেই। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের আয় নেই। খেটে খাওয়া মানুষেরা হয়ে পড়ছেন বেকার। এ অবস্থায় এনজিও’র সাপ্তাহিক ও মাসিক কিস্তির টাকা জোগাড় তো দূরের কথা খাবার কেনার টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
ভালুকা উপজেলায় শতাধিক এনজিও সংস্থা নিয়মিত ঋণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এসব এনজিও থেকে কয়েক হাজার মানুষ ঋণ সংগ্রহ করেছেন। এতে ঋণগ্রহীতারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
ভুক্তভোগী এক ঋন গ্রহিতা জানায়, কিস্তির টাকা না দিলে কর্মীরা টাকার জন্য রাত অবদি বাড়ীতে বসে থাকে, গালমন্দ করেন, হুমকি দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চা দোকানদার জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে এলাকা জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করায় মানুষ ঘর থেকে কম বের হয়। দোকানপাঠ বন্ধ থাকায় ইনকামও বন্ধ। ঠিক মতো দুই বেলা দুমুঠো ভাতের জোগাড় করা যেখানে কষ্টসাধ্য সেখানে আবার কিস্তি দেব কোথা থেকে।
সরকারের পক্ষ থেকে এই ৭ দিনের কঠোর লকডাউনের দুর্যোগকালীন সময়ে কিস্তি আদায়ে ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা না থাকায় হতদরিদ্র থেকে মধ্যবিত্ত ব্যবসায়ীরাও পড়েছেন এখন বিপাকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, কঠোর লকডাউনে এমনিতেই আমাদের দোকানপাঠ বন্ধ রয়েছে তার পরেও এনজিও এবং সমিতির লোক গুলো কিস্তির টাকার জন্য বাসায় চলে আসে। এমন পরিস্থিতিতে কিস্তির টাকা প্রদানে অপরাগতা প্রকাশ করলেই আমাদের সাথে দুর্ব্যবহারসহ নানা চাপ প্রয়োগ করে থাকেন।
এ সময়ে এনজিও ও সমিতির লোকদের দৌরাত্ম বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।