ময়মনসিংহ ব্যুরো :
শ্রীবরদীতে সরকারের নির্দেশ অমান্য করে রাতের আঁধারে চলছে দুর পাল্লার বাস। বাসগুলোর যাত্রীদের কাছ থেকে তিন থেকে পাঁচ গুণ অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার ভায়াডাঙ্গা, কর্ণঝোড়া, ঝগড়ারচর, ভারেরা, কুরুয়া সহ বিভিন্ন বাজার থেকে সন্ধ্যা ৭ থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গাড়িগুলো ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
১৭ মে রাত ৮টার দিকে ভায়াডাঙ্গা বাজারে গিয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, মোজাদেদ্দীয়া, নিউ মোজাদেদ্দীয়, শাহীমনিসহ বিভিন্ন কাউন্টারে দুরপাল্লার গাড়ির টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। সাংবাদিক ছবি তুলতেই কাউন্টার বন্ধ করা শুরু হয়।
ঢাকার যাত্রী মুসছিম উদ্দিন বীরযোদ্ধাকে বলেন, কর্ণঝোড়া পাহাড়িয়া এলাকায় আমার বাড়ি, আমি ৮শ টাকা দিয়ে টিকিট কিনেছি। আসার সময় পিকাপ ভ্যানে এসেছি। আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। আমি ঢাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করি। ভাড়া বেশি হলেও আমাকে যেতে হবে।
দুরপাল্লার গাড়ি বন্ধ থাকার পরেও টিকিট বিক্রি করছেন কিভাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে মোজাদেদ্দীয় গাড়ির কাউন্টার মাস্টার লাভলু মিয়া বলেন, সবাই বিক্রি করতেছে, তাই বিক্রি করতেছি। আটশ, এক হাজার টাকা করে টিকিট বিক্রি করছেন কেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, গাড়ির মালিক বিক্রি করতে বলছেন। এ ব্যাপারে জেলা মনি বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুজিত কুমার ঘোষ বলেন, সরকারের নির্দেশে দুরপাল্লার গাড়ি বন্ধ রয়েছে, তবে কিছু গাড়ির মালিক চুরি করে রাতের আঁধারে গাড়ি চালাচ্ছে। এগুলো দেখবে পুলিশ প্রশাসন। সরকার যে পর্যন্ত গাড়ি চালানোর নির্দেশ না দিবে, এ পর্যন্ত আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো গাড়ি চালাবো না। রাতে আঁধারে চালানো ওইসব গাড়ির বিষয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা নিলে আমাদের সমিতির পক্ষ থেকে আমরা প্রশাসনকে কিছুই বলব না।
এ ব্যাপারে ওসি তদন্ত ইসকান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, গাড়িগুলোকে শেরপুর আটকে দেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলুফা আক্তার মুঠোফোনে বলেন, ওই সব গাড়ির বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।