সোহাগ রহমান :
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কাহালগাঁও গ্রামের রঙ্গেরধারা এলাকায় লেবু চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন গফুর আলী ও সাজ্জাত হোসেন শামীম নামে দুই উদ্যোক্তা।
সোমবার সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, ওই দুই লেবু চাষি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কাহালগাঁও গ্রামের রঙ্গেরধারা এলাকায় নিজস্ব দুই একরসহ ২০ একর জমিতে বিচিবিহীন উচ্চ ফলনশীল কলম্ব ও সিডলেজ জাতের লেবুর চাষ করেন। ইতোমধ্যে ওই দুই উদ্যোক্তা ১৫ থেকে ১৬লাখ টাকার লেবু বিক্রি করেছেন। বিক্রির উপযোগী এখনও অনেক লেবু রয়েছে তাদের বাগানে।
চাষি গফুর আলী জানান, জমি ভাড়াসহ একর প্রতি তাদের খরচ হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এ থেকে তাদের দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। বর্তমানে তাদের ২০ একর জমির ওপর রোপিত লেবু বাগানে ১৫ একর জমিতে কলম্ব জাতের ১৯ হাজার লেবুগাছ রয়েছে এবং সিডলেজ জাতের গাছ রয়েছে তিন হাজার। তিনি আরও জানান, তাদের লেবু দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি করা হয়। কাহালগাঁও ও এনায়েতপুর বাজারে প্রতিদিন ট্রাকভর্তি লেবু যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন পাইকারি বাজারগুলোতে। লেবু বিক্রির পাশাপাশি তারা চারাও বিক্রি করে থাকেন।
অন্যদিকে চাষি শামীম জানান, বিচিবিহীন উন্নত জাতের প্রায় ২০ হাজার লেবুর চারা রয়েছে। যারা পতিত জায়গায় লেবুর চাষ করতে চায় বা বড় পরিসরে লেবুর বাগান করতে চায়, তারাও তাদের কাছ থেকে স্বল্পমূল্যে লেবুর চারা সংগ্রহ করতে পারবেন। তিনি আরও জানান, বেশিদূর পড়াশুনা করতে না পারায় সরকারি চাকুরির আশায় বালি। ফলে অন্যের বাগান দেখে কৃষির প্রতি মনোযোগ দেন তারা। স্বল্প পূঁজিতে গড়ে তোলেন লেবুর এই বাগান। এখন লেবুর বাগানেই তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরানোর আশা দেখছেন। প্রতিষ্ঠানিক কিংবা সরকারি কৃষি অফিসের সহযোগিতা ছাড়াই লেবু চাষে তারা ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। তারা মনে করেন গ্রামের বেকার যুবকরা তাদের পতিত জমিতে লেবু চাষ করলে তারাও তাদের বেকারত্ব গুচিয়ে অর্থনৈতিক পরিবর্তন ঘটাতে পারেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, ওই চাষিরা লেবু চাষ ও পরিচর্যা সম্পর্কে যেকোনো পরামর্শের জন্য কৃষি অফিসে আসলে তাদেরকে সবরকম সহায়তা প্রদান করা হবে।