মোঃ ফারুক হোসেন, ময়মনসিংহ ব্যুরো :
বাড়ির লোকজনদের চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অভিনব কায়দায় চুরির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি।
ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অভিনব কায়দায় একদল চোর প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে সহজ সরল কৃষকের বাড়িতে চুরি করে আসছিল। গত ১০ জানুয়ারী ঈশ্বরগঞ্জের রাজারামপুর গ্রামে মোঃ নূরে আলম সিদ্দিক বাবলু এবং ১৪ জানুয়ারী মাইজহাটি গ্রামে আকরামের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। বাড়ির সদস্যদের চেতনানাশক ঔষুধ খাইয়ে ওই চুরি সংঘটিত করে। এ ব্যাপারে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় চুরির দুটি মামলা হয়।
মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত করে ডিবি ঘটনায় জড়িত ২ জনকে ২ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪টায় ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কাঠাল ডাংরী থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
উভয়েই অভিনব কায়দায় চুরির ঘটনা স্বীকার করে জানায়, প্রথমে তারা সুবিধা মত বাড়ি বাছাই করে। ঘটনার আগের রাতে তারা ওই বাড়িতে রান্নাঘরে ঢুকে প্রত্যেক রান্নার মশলার সাথে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে রেখে যায়। ঐ মশলার রান্না খেয়ে পরে রাতে সবাই গভীর ঘুমে মগ্ন থাকলে চোরেরা তাদের ইচ্ছামত চুরি করে চলে যায়। এভাবেই তারা চুরি করছে বলে জানা যায়।
ডিবি পুলিশ একটি ঘটনায় চোরাই কিছু স্বর্ণ উদ্ধার করে ও চোরাই মাল ক্রেতা ১ জন স্বর্ণকারকে ধৃত করে। অন্য চোরাই মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে ৩ এপ্রিল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সুব্রত ঘোষ শুভ ৪নং আমলী আদালতে সোর্পদ করা হলে, চুরির বর্ণনা দিয়ে বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার দত্তের ডাংরী গ্রামের আ. ছাত্তারের ছেলে সবুজ মিয়া ওরফে আইলশা (৩০), কাঁঠাল ডাংরী গ্রামের ইসরাফিলের ছেলে রফিক মিয়া (৩০), কাকনহাটি গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে শাহিন মিয়া।
আসামীদের কাছ থেকে নগদ ২৫ হাজার টাকা ও ৬ আনা ২ রতি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।